দিনের শুরুতেই সবাইকে এই কঠিন কাজটা করতে হয়। তা হলো লেপ-কম্বলের
আরামদায়ক উষ্ণতা ছেড়ে বাইরে যাবার জন্য প্রস্তুত হওয়া। শীতের দিনে সবচাইতে
কঠিন কাজই মনে হয় ঘুম থেকে ওঠা। একেবারেই যদি ঘুম থেকে ওঠা না লাগতো,
তাহলেই অনেকে খুশি হতেন। কিন্তু জীবনের তাগিদে আমাদের বিছানা ছেড়ে উঠতে
হবে, বের হতে হবে অফিস-আদালতের পথে। এই কাজটাকে নেহায়েত এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব
না হলেও কিছুটা সহজ করে ফেলা যায়। দেখে নিন কী করলে এই কঠিন কাজটা একটু সহজ
মনে হবে আপনার জন্য।
১) সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখুন আগের রাত্রেই
সকালে ঘুম থেকে উঠে মস্তিষ্ক কাজ করতে চায় না। এই ঘুম ঘুম অবস্থায় যদি ঠিক করতে হয় সকালে রুটির সাথে মিষ্টি খাবেন না ভাজি, লাল শার্ট পরবেন নাকি নীল শার্ট, চা নাকি কফি তবে আসলে ভীষণ যন্ত্রণা মনে হয়। আগের দিন রাত্রেই ঘুমানোর আগে এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন। ব্রেকফাস্টের জন্য জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন। কী পোশাক পরবেন তা বের করে রাখুন। ব্যাগ গুছিয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন।
২) ইতিবাচক চিন্তা করুন
সারাদিনের স্ট্রেস নিয়ে বিছানায় যাবেন না। আবার সামনের দিনে কতো কাজ পড়ে আছে, কতো কঠিন সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে সেটা নিয়ে চিন্তা করলেও খুব একটা লাভ হবে না। বরং ইতিবাচক চিন্তা করুন। ভাবুন কী দারুণ একটা ব্রেকফাস্ট করবেন সকালে, অথবা সুন্দর একটা পোশাক পরে মেকআপ করে বের হবেন। ভালো জিনিস চিন্তা করলে ঘুমটাও ভালো হবে, সকালে নিজেকে লাগবে তরতাজা।
৩) পর্দা সরিয়ে রাখুন
সূর্যের আলো আমাদের শরীরকে বলে ঘুম থেকে ওঠার সময় হয়েছে। এ কারণে সকাল
সকাল ঘুম থেকে উঠতে চাইলে সূর্যের সাহায্য নেওয়াটাই ভালো। ঘুমাতে যাবার আগে
এমনভাবে পর্দা সরিয়ে রেখে যান যেন সকালে সূর্যের আলোটা আপনার ওপর এসে পড়ে।
৪) সময়মত ঘুমাতে যান
সকালে আমাদের মেজাজ বেশি খারাপ হয়ে থাকে ঘুম কম হবার কারণে। অনেক রাত পর্যন্ত ল্যাপটপ বা মোবাইল ব্যবহার করার কারণে এই সমস্যাটা আমাদের বেশি হয়ে থাকে। দেরি করে ঘুমালে ঘুম কম হবে এবং সময়মত উঠতে পারবেন না- এটা জেনেও বেশীরভাগ মানুষ অনেক দেরি করে ঘুমান। এক কাজ করে দেখুন। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য গ্যাজেট সরিয়ে রাখুন। রাত্রে ৯টার দিকে ঘুমান, ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠুন। এতে ৯ ঘন্টার লম্বা ঘুম হবে। ৯টার সময়ে ঘুমাতে যাবার কথা শুনে অনেকে হাসলেও চেষ্টা করে দেখুন, নিজেকে অনেক ফ্রেশ লাগবে।
৫) নিজেকে টেনে উঠিয়ে ফেলুন বিছানা থেকে
ঘুম থেকে ওঠাটাই কষ্টের, তার ওপর জোর করে বিছানা ছেড়ে ওঠার কথা তো আরও কঠিন। কিন্তু সময়মত বিছানা ছেড়ে ওঠার জন্য কিছু কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। বিছানা থেকে অনেক দূরে রাখতে পারেন অ্যালার্ম ঘড়িটা। তাহলে বিছানা ছেড়ে আপনাকে উঠতেই হবে। আর অ্যালার্ম ঘড়ি বন্ধ করতে করতে দেখবেন আপনার ঘুম অনেকটাই চলে গেছে। ব্রাশ করা শুরু করলে বাকি ঘুমটাও পালিয়ে যাবে।
সকালের পাখি হয়ে ওঠা এক রাতে সম্ভব নয় কিন্তু। এর জন্য আপনাকে চেষ্টা করেই যেতে হবে। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে হয়তো আপনার জীবনটা আগের থেকে একটু হলেও সহজ হয়ে উঠতে পারে।
১) সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখুন আগের রাত্রেই
সকালে ঘুম থেকে উঠে মস্তিষ্ক কাজ করতে চায় না। এই ঘুম ঘুম অবস্থায় যদি ঠিক করতে হয় সকালে রুটির সাথে মিষ্টি খাবেন না ভাজি, লাল শার্ট পরবেন নাকি নীল শার্ট, চা নাকি কফি তবে আসলে ভীষণ যন্ত্রণা মনে হয়। আগের দিন রাত্রেই ঘুমানোর আগে এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন। ব্রেকফাস্টের জন্য জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন। কী পোশাক পরবেন তা বের করে রাখুন। ব্যাগ গুছিয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন।
২) ইতিবাচক চিন্তা করুন
সারাদিনের স্ট্রেস নিয়ে বিছানায় যাবেন না। আবার সামনের দিনে কতো কাজ পড়ে আছে, কতো কঠিন সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে সেটা নিয়ে চিন্তা করলেও খুব একটা লাভ হবে না। বরং ইতিবাচক চিন্তা করুন। ভাবুন কী দারুণ একটা ব্রেকফাস্ট করবেন সকালে, অথবা সুন্দর একটা পোশাক পরে মেকআপ করে বের হবেন। ভালো জিনিস চিন্তা করলে ঘুমটাও ভালো হবে, সকালে নিজেকে লাগবে তরতাজা।
৩) পর্দা সরিয়ে রাখুন
৪) সময়মত ঘুমাতে যান
সকালে আমাদের মেজাজ বেশি খারাপ হয়ে থাকে ঘুম কম হবার কারণে। অনেক রাত পর্যন্ত ল্যাপটপ বা মোবাইল ব্যবহার করার কারণে এই সমস্যাটা আমাদের বেশি হয়ে থাকে। দেরি করে ঘুমালে ঘুম কম হবে এবং সময়মত উঠতে পারবেন না- এটা জেনেও বেশীরভাগ মানুষ অনেক দেরি করে ঘুমান। এক কাজ করে দেখুন। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য গ্যাজেট সরিয়ে রাখুন। রাত্রে ৯টার দিকে ঘুমান, ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠুন। এতে ৯ ঘন্টার লম্বা ঘুম হবে। ৯টার সময়ে ঘুমাতে যাবার কথা শুনে অনেকে হাসলেও চেষ্টা করে দেখুন, নিজেকে অনেক ফ্রেশ লাগবে।
৫) নিজেকে টেনে উঠিয়ে ফেলুন বিছানা থেকে
ঘুম থেকে ওঠাটাই কষ্টের, তার ওপর জোর করে বিছানা ছেড়ে ওঠার কথা তো আরও কঠিন। কিন্তু সময়মত বিছানা ছেড়ে ওঠার জন্য কিছু কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। বিছানা থেকে অনেক দূরে রাখতে পারেন অ্যালার্ম ঘড়িটা। তাহলে বিছানা ছেড়ে আপনাকে উঠতেই হবে। আর অ্যালার্ম ঘড়ি বন্ধ করতে করতে দেখবেন আপনার ঘুম অনেকটাই চলে গেছে। ব্রাশ করা শুরু করলে বাকি ঘুমটাও পালিয়ে যাবে।
সকালের পাখি হয়ে ওঠা এক রাতে সম্ভব নয় কিন্তু। এর জন্য আপনাকে চেষ্টা করেই যেতে হবে। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে হয়তো আপনার জীবনটা আগের থেকে একটু হলেও সহজ হয়ে উঠতে পারে।
No comments:
Post a Comment