টুর্নামেন্টের
শুরু থেকে অপেক্ষা—কখন সামনে আসবেন তিনি, কখন কথা বলা যাবে তাঁর সঙ্গে?
কিন্তু তাঁকে পাওয়া আর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া যেন সমান! কারও কারও একান্ত
সাক্ষাৎকারের আশাও প্রতিহত হয়ে ফিরেছে তাঁর চারপাশে থাকা অদৃশ্য দেয়ালে।
তিনি কারও একার সঙ্গে কথা বলবেন না। বললে সবার সঙ্গে বলবেন।
এই তিনি হলেন রাহুল দ্রাবিড়। খেলা ছাড়ার ৪ বছর পর এই ৪৩ বছর বয়সেও এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় তারকা। হালের রংচঙা ক্রিকেট দ্রাবিড়ের সঙ্গে যায় না। ‘দ্য ওয়াল’ ক্রিকেটের শুদ্ধতার প্রতীক। তিনি যদি বলেন ক্রিকেটের এই অংশটি ভালো, সেটাকে ভালো বলাই যায়।
অথচ সেই দ্রাবিড় থেকে যাচ্ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আছেন। অথচ জানার উপায় ছিল না, এই দেশের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক উত্থানকে তিনি কী চোখে দেখেন? সুযোগটা এল কাল দুপুরে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রথম সেমিফাইনাল-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারত যুবদলের অধিনায়ক ইশান কিষানের পাশের আসনটি অলংকৃত করলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
বেশির ভাগ প্রশ্নই ছিল আজকের ম্যাচ এবং যুব বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে। প্রতিটি প্রশ্নেই দ্রাবিড়ের দীর্ঘ উত্তর। শ্রীলঙ্কার যুবারা সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ হিসেবে কেমন হবে, বিশ্বকাপে খেলা আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর পারফরম্যান্স, কেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরও বেশি সুযোগ করে নিতে পারছে না...ইত্যাদি। একপর্যায়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও এল এবং দ্রাবিড় তখন প্রশংসার ঝাঁপিটাই খুলে দিলেন, ‘কয়েক বছর ধরে অসাধারণ সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে নিজেদের মাটিতে এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তারা এখন দুর্দান্ত দল, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই। তাদের পাত্তা না দিয়ে এখন আর উপায় নেই।’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দ্রাবিড় মুগ্ধ, তাঁর মতো তারকার কাছেও তারকার মর্যাদা পাচ্ছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা, ‘ব্যতিক্রমী এক দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এটা হয়েছে সাকিব, মুশফিক ও মুর্তজার (মাশরাফি) মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের একসঙ্গে পেয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসলেই তারকা হয়ে উঠেছে ওরা।’ নতুনদের মধ্যে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের কথা বলেছেন আলাদা করে, ‘মন্তব্য করার মতো যথেষ্ট খেলা আমি দেখিনি। তবে অনেকেই আমাকে মুস্তাফিজ সম্পর্কে দারুণ কিছু কথা বলেছে।’ দ্রাবিড়ের ভালো লাগে মাহমুদউল্লাহর খেলা। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দু-একজন ক্রিকেটারও তাঁর দৃষ্টি কেড়েছেন।
মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের প্রশংসাই করেছেন দ্রাবিড়, ভালো দল হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। তবে দ্রাবিড় মনে করেন ‘ভালো’টা সত্যিকারের ভালো হয়ে উঠবে দেশের বাইরে ভালো করতে পারলেই, ‘ফলাফলই বলে দেয় তাদের উন্নতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, বিশেষ করে নিজেদের দেশে। আমি মনে করি তাদের এবং নতুন যারা উঠে আসছে, সবারই এর পরের চ্যালেঞ্জটা হওয়া উচিত এই ভালো পারফরম্যান্সটাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া।’
ভারত ‘এ’ দলের হয়ে সার্ক ক্রিকেট খেলতে দ্রাবিড় বাংলাদেশে প্রথম আসেন ১৯৯৪ সালে। ফাইনালের ৩৭ রানসহ মোট ১৩০ রান করেই হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার, ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টও। জাতীয় দলের হয়েও বাংলাদেশ সফর করে গেছেন অনেকবার। তবে এবারের আসাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায়। দ্রাবিড় এবার কোচ, দলের অভিভাবক। তবে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য পূরণে নিজের চেয়ে খেলোয়াড়দের ভূমিকাই দেখছেন বেশি, ‘এটা খেলোয়াড়দের দল, কোচের নয়। দীর্ঘ খেলোয়াড়ি অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি, একজন কোচ একটা দলের নির্দিষ্ট বিষয়েই প্রভাব ফেলতে পারে। এটা খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপ এবং তাদের পারফরম্যান্সই জেতাবে অথবা হারাবে।’
খেলোয়াড়দের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নটা করতে পারছেন বলেই তিনি রাহুল দ্রাবিড়। কখনো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ না পেয়েও একটি বিশ্বকাপে দলের কোচ।
এই তিনি হলেন রাহুল দ্রাবিড়। খেলা ছাড়ার ৪ বছর পর এই ৪৩ বছর বয়সেও এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় তারকা। হালের রংচঙা ক্রিকেট দ্রাবিড়ের সঙ্গে যায় না। ‘দ্য ওয়াল’ ক্রিকেটের শুদ্ধতার প্রতীক। তিনি যদি বলেন ক্রিকেটের এই অংশটি ভালো, সেটাকে ভালো বলাই যায়।
অথচ সেই দ্রাবিড় থেকে যাচ্ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আছেন। অথচ জানার উপায় ছিল না, এই দেশের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক উত্থানকে তিনি কী চোখে দেখেন? সুযোগটা এল কাল দুপুরে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রথম সেমিফাইনাল-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারত যুবদলের অধিনায়ক ইশান কিষানের পাশের আসনটি অলংকৃত করলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
বেশির ভাগ প্রশ্নই ছিল আজকের ম্যাচ এবং যুব বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে। প্রতিটি প্রশ্নেই দ্রাবিড়ের দীর্ঘ উত্তর। শ্রীলঙ্কার যুবারা সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ হিসেবে কেমন হবে, বিশ্বকাপে খেলা আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর পারফরম্যান্স, কেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরও বেশি সুযোগ করে নিতে পারছে না...ইত্যাদি। একপর্যায়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও এল এবং দ্রাবিড় তখন প্রশংসার ঝাঁপিটাই খুলে দিলেন, ‘কয়েক বছর ধরে অসাধারণ সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে নিজেদের মাটিতে এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তারা এখন দুর্দান্ত দল, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই। তাদের পাত্তা না দিয়ে এখন আর উপায় নেই।’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দ্রাবিড় মুগ্ধ, তাঁর মতো তারকার কাছেও তারকার মর্যাদা পাচ্ছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা, ‘ব্যতিক্রমী এক দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এটা হয়েছে সাকিব, মুশফিক ও মুর্তজার (মাশরাফি) মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের একসঙ্গে পেয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসলেই তারকা হয়ে উঠেছে ওরা।’ নতুনদের মধ্যে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের কথা বলেছেন আলাদা করে, ‘মন্তব্য করার মতো যথেষ্ট খেলা আমি দেখিনি। তবে অনেকেই আমাকে মুস্তাফিজ সম্পর্কে দারুণ কিছু কথা বলেছে।’ দ্রাবিড়ের ভালো লাগে মাহমুদউল্লাহর খেলা। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দু-একজন ক্রিকেটারও তাঁর দৃষ্টি কেড়েছেন।
মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের প্রশংসাই করেছেন দ্রাবিড়, ভালো দল হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। তবে দ্রাবিড় মনে করেন ‘ভালো’টা সত্যিকারের ভালো হয়ে উঠবে দেশের বাইরে ভালো করতে পারলেই, ‘ফলাফলই বলে দেয় তাদের উন্নতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, বিশেষ করে নিজেদের দেশে। আমি মনে করি তাদের এবং নতুন যারা উঠে আসছে, সবারই এর পরের চ্যালেঞ্জটা হওয়া উচিত এই ভালো পারফরম্যান্সটাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া।’
ভারত ‘এ’ দলের হয়ে সার্ক ক্রিকেট খেলতে দ্রাবিড় বাংলাদেশে প্রথম আসেন ১৯৯৪ সালে। ফাইনালের ৩৭ রানসহ মোট ১৩০ রান করেই হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার, ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টও। জাতীয় দলের হয়েও বাংলাদেশ সফর করে গেছেন অনেকবার। তবে এবারের আসাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায়। দ্রাবিড় এবার কোচ, দলের অভিভাবক। তবে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য পূরণে নিজের চেয়ে খেলোয়াড়দের ভূমিকাই দেখছেন বেশি, ‘এটা খেলোয়াড়দের দল, কোচের নয়। দীর্ঘ খেলোয়াড়ি অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি, একজন কোচ একটা দলের নির্দিষ্ট বিষয়েই প্রভাব ফেলতে পারে। এটা খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপ এবং তাদের পারফরম্যান্সই জেতাবে অথবা হারাবে।’
খেলোয়াড়দের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নটা করতে পারছেন বলেই তিনি রাহুল দ্রাবিড়। কখনো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ না পেয়েও একটি বিশ্বকাপে দলের কোচ।
No comments:
Post a Comment